তাবলিগী ছয় নম্বর

আল-হামদুল্লিলাহি রাব্বিল আলামিন...
জ্বি ভাই, আল্লাহপাক হুজুর সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। এই দ্বীন মোতাবেক চলার মধ্যেই সমস্ত মানব জাতির দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি ও কামিয়াবী রয়েছে। কিন্তু আজ আমরা দ্বীন মানার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছি। সাহাবীরা অনেক অনেক ‍গুনে গুনান্নীত ছিলেন এবং আল্লাহ ও রাসূলের সুন্নতকে পরিপূর্ণভাবে মানতেন এবং আমল করতেন। তো ভাইতাদের জীবন থেকে কয়েকটি গুনের উপর মেহনত করে আমল করতে পারলে দ্বীনের উপর চলা অতি সহজ।  মানুষ যদি আল্লাহ পাকের নিকট কবুল হতে চায়আল্লাহ পাক তাহার অর্থ-সম্পদবংশ-মর্যাদাশিক্ষা-দীক্ষাসামাজিক অবস্থানবরং কিছুই দেখেন না দেখেন তার সিফাত। এর মাঝে প্রথম সিফাত হল ঈমান।

ঈমানঃ
ঈমান হল রসুল (সাঃ) এর উপর পুর্ন আস্থা থাকার কারনে আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে তিনি যে সকল খবর নিয়ে এসেছেন তা বিনা দ্বিধায় মেনে নেয়া।

ঈমানি কলেমা হচ্ছেঃ
লা ইলাহা ইল্লাল্লহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ (সাঃ)
অর্থঃ নাই কোন মাবুদ আল্লাহ ছাড়া হযরত মোহাম্মদ (সাঃআল্লাহর প্রেরিত রাসূল।

লাভঃ যে ব্যক্তি খাটি দীলে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ স্বীকার করবে সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে।

ঈমানের উদ্দেশ্যঃ
আল্লাহতায়ালা ছাড়া আমরা যা কিছু দেখি বা না দেখি সবই মাখলুক। মাখলুখ কিছুই করতে পারে না আল্লাহর হুকুম ছাড়া আর আল্লাহ্ সব কিছু করতে পারেন মাখলুখ ছাড়া। একমাত্র হুজুরপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর তরীকায় দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি ও কামিয়াবী রয়েছে।

ক) দিলের ইয়াকীন সহীহ করাঃ মাখলুক থেকে কিছুই হয় না যা হয় এক আল্লাহ থেকেই হয়।
খ) তরীকার ইয়াকীন সহীহ করাঃ রাসুল (সাঃ) এর তারীকা অনুযায়ী চলার মধ্যেই এক মাত্র কামিয়াবী।
গ) জযবার ইয়াকীন সহীহ করাঃ মালমুখী থেকে আ’মালমুখী হওয়াদুনিয়া থেকে আখেরাতমুখী হওয়া।

ঈমানের ফযিলতঃ
ঈমানের দ্বারাই বান্দার সাথে আল্লাহর সম্পর্ক স্থাপন হবে। জাররা পরিমান ঈমান নিয়ে যে ব্যাক্তি দুনিয়া থেকে যাবেতাকে ১০ দুনিয়ার সমান জান্নাত দেয়া হবে। একজন ঈমানওয়ালা মানুষ যতদিন দুনিয়াতে থাকবে আল্লহ পাক তার বদৌলতে দুনিয়ার সমস্ত কায়েনাতকে ঠিক রাখবেন।

হাসিল করার তরীকাঃ
১) দাওয়াত
২) মশক
৩) দোয়া

১) দাওয়াতঃ দাওয়াত কিআল্লাহ থেকেই সমস্ত কিছু হয় মাখলুক থেকে কিছুই হয় নাএকমাত্র রাসুল (সাঃ) এর নুরানী তরীকাতেই একশতভাগ শান্তি ও কামিয়াবী অন্য যে কোন তরীকাতেই একশত ভাগ ধ্বংসদুনিয়ার জিন্দেগী অল্প সময়ের জিন্দেগী আর আখেরাতের জিন্দেগী চিরস্থায়ী জিন্দেগী এই কথা মানুষ কে বলা। কাকে দাওয়াত দিবকোথায় দাওয়াত দিবউম্মতকে দাওয়াত দিব। যেখানে যেখানে উম্মত আছে সেখানে সেখানে দাওয়াত দিতে হবে।

কি দাওয়াত দিব?
যেখানে যেখানে আসবাব থেকে হওয়ার কথা আলোচনা হয়সেখানে সেখানে গিয়ে আল্লহ থেকে হওয়ার দাওয়াত দিতে হবে। যেখানে রাসুল (সাঃ) তরীকা ব্যতীত অন্য তরীকার কথা আলোচনা করা হয় সেখানে গিয়ে রাসুল (সাঃ) তরীকায় একশত ভাগ কামিয়াবী আছে তার দাওয়াত দিতে হবে। যেখানে মানুষের আগ্রহ অল্পসময়ের দুনিয়ার প্রতি সেখানে গিয়ে চিরস্থায়ী আখেরাতের দাওয়াত দিতে হবে। নিজের জীবনে আনার জন্যই দাওয়াত দিতে হবে। আল্লাহ পাকের বড়ত্বেরআজমতেরএকত্ববাদের দাওয়াত দিতে হবে। এভাবে দাওয়াত দেয়ার দ্বারা ঈমান বনবেএই ঈমানকে মজবুত করার জন্য ঈমানের মশক করতে হবে।

২) মশকঃ ঘরে ও মসজিদে ঈমানী হালকা কায়েম করে ৪ লাইনে কথা বার্তা আলোচনা করতে হবে।
ক) আল্লাহ পাকের কুদরতের কথা আলোচনা করতে হবে (আল্লাহ পাক কুদরতের দ্বারা কায়েনাত কে সৃষ্টি করেছেনকায়েনাতের মধ্যে কুদরত নাই) এর দ্বারা দিলে আল্লাহ পাকের আজমত বসবেধারনা সাফ হবে।
খ) আল্লাহ পাক নবীদের সাথে জাহেরের খেলাফ যে সব সাহায্য আর মদদ করছেন তা বেশী বেশী আলোচনা করা।
গ) ইয়াকিনের বুনিয়াদের উপর সাহাবাদেরকে জাহেরের খেলাফ যে সকল মদদ আল্লাহ পাক করেছেন তা আলোচনা করা।
ঘ) ঈমানের লক্ষন সমূহের ব্যাপারে কোরআন ও হাদিসে যে সব আয়াত ও হাদিস আছে তার সাথে নিজের ঈমানকে যাচাই করা।

৩) দোয়াঃ কামেল ঈমান হাসিল করার জন্য দোয়া করতে হবে।

নামাজঃ আল্লহ পাকের খাজানা থেকে সরাসরি নেয়ার মাধ্যম হলো নামাজ।

উদ্দেশ্যঃ
হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে নামায পড়েছেন এবং সাহাবা (রাঃগণকে যেভাবে নামায পড়ার শিক্ষা দিয়েছেন মেহনত করে সেভাবে নামজ পড়ার যোগ্যতা অর্জন করা। আল্লহ পাকের খাজানা থেকে সরাসরি নেয়ার এক যোগ্যতা আর্জন করা।

ফযিলতঃ
যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামায সময়মত ও গুরুত্ব সহকারে আদায় করবে আল্লাহ্তয়ালা তাকে নিজ দায়িত্বে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। নামাজের এহতেমামের দ্বারা আল্লাহ পাক পাঁচ ভাবে পুরষ্কৃত করবেন।

১। আল্লাহ পাক দুনিয়াতে রিজিকের সংকীর্নতা দূর করে দেবেন।
২। কবরের আজাব হটাইয়া দিবেন।
৩। ডান হাতে আমাল নামা দিবেন।
৪। পুলসিরাতের রাস্তা বিজলির ন্যায় পার করে দিবেন।
৫। বিনা হিসেবে জান্নাত দিবেন।

হাসিলঃ তিন লাইনে মেহনতের দ্বারা নামাজ হাসিল হবে -দাওয়াতমশকদোয়া।

ক) দাওয়াতঃ
১। আমার জিন্দেগীতে কামেল নামাজ আনার জন্য উম্মতের মধ্যে চলাফেরা করে কামেল নামাজের দাওয়াত দিতে হবে।
২। নামাজের ফাজায়েল জানিয়া জানিয়া তার দাওয়াত দিতে হবে।
৩। নামাজ শুরু হয় অজুর দ্বারাতাই অজুর ফরজসুন্নতমুস্তাহাব ইত্যাদির দাওয়াত দিতে হবে।
৪। আল্লাহর ধ্যানে নামাজ পড়তে হবেনিজের জিন্দেগীতে আনার জন্য দাওয়াত দিতে হবে।
৫। কেরাতরুকুসেজদাজলসাকওমা ইত্যাদি শান্ত ভাবে আদায় করতে হবেএই কথার দাওয়াত দিতে হবে।

খ) মশকঃ দুই লাইনে নামাজের মশক করতে হবে।

১। জাহেরী লাইনেঃ
ক) অজু করার সময় ফরজসুন্নতমুস্তাহাবমেসওয়াক ইত্যাদি খেয়াল রাখতে হবে।
খ) কেয়ামরুকুসেজদাজলসাকওমা ইত্যাদি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ব্যবহার যথাযথভাবে আদায় করার জন্য মশক করতে হবে।

২। বাতেনী লাইনেঃ
অ) আল্লাহর ধ্যানে নামাজ পড়া।
আ) খুশু-খুজুর সাথে নামাজ পড়া।
ই) মোয়ামেলাতের মধ্যে তাকওয়া আনা। নিজের কামাই-রোজগার হালাল করা।
ঈ) প্রতি রোকনে কমপক্ষে ৩ বার এই ধ্যান করতে হবে যেআল্লাহ আমাকে দেখতেছেন।
উ) কোন সমস্যা আসলে তাহা নামায দ্বারা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।
ঊ) নামাযের মধ্যে দিল দেমাগ ও শরীর হাজির রাখতে হবে অর্থাৎ নামাযে ফরজওয়াজিবসুন্নত কি কি তাহা ইয়াদ রাখতে হবে।

গ) দোয়াঃ হাকীকতওয়ালা নামাজ পড়ার তৌফিক চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে।

এলেম ও জিকিরঃ
এলেমঃ আল্লাহ্পাকের কখন কি হুকুম তা সঠিকভাবে জেনে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর তরীকা অনুযায়ী আমল করা।

উদ্দেশ্যঃ এলমে এলাহীর মধ্যে দুনিয়া ও আখেরাতের কামিয়াবী আছেএই ইয়াকীন দিলে পয়দা করতে হবে। যে এলেম দ্বারা আল্লাহকে চেনা যায় সেটাই এলমে এলাহী।

ফজিলতঃ
১) যে ব্যাক্তি এলমে এলাহী শিখতে বাহির হয়ফেরেশতারা তার চলার পথে পাখা বিছায়ে দেয়।
২) এলমের একটা অধ্যায় শিক্ষা করা ১০০০ রাকাত নফল নামাজ পড়ার চেয়ে উত্তম।
যে ব্যক্তি এলেম শিক্ষা করার উদ্দেশ্যে কোন পথে চলে আল্লাহ্পাক তার জন্য জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দেন।

হাসিলঃ তিন লাইনে মেহানত দ্বারা এলমে এলাহী হাসিল হবে।
ক) দাওয়াত
খ) মশক
গ) দোয়া

ক) দাওয়াতঃ এলমের উদ্দেশ্য ও লাভ বলে বলে মানুষে মধ্যে দাওয়াত দিতে হবে।

খ) মশকঃ চার ভাবে এলম হাসিলের মশক করতে হবে।
১। ফাজায়েল-ওয়ালা এলম (ঘরে ও মসজিদে তালিমের হালকায় বসে)
২। মাসায়েল-ওয়ালা এলম (ওলামায়ে কেরাম থেকে)
৩। ছিফাত-ওয়ালা এলম (মুন্তাখাব হাদীস পড়ে)
৪। তরবিয়ত-ওয়ালা এলম (হায়াতুস সাহাবাহ পড়ে)

গ) দোয়াঃ এলমে এলাহী হাসিলের তৌফিক চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে।

জিকিরঃ
উদ্দেশ্যঃ সদা সর্বদায় আল্লাহতায়ালার ধ্যান খেয়াল অন্তরে পয়দা করা।  আমাদের জিন্দেগীর মধ্যে এহসান পয়দা করা। আল্লাহ আমাকে সর্বদা দেখেনআমার দিলের জল্পনা-কল্পনাও তিনি জানেন-শুনেনএই ইয়াকীন সর্বদা দিলে থাকাকে এহসান বলে। আল্লাহ পাক সামীউনবসীরুন ও আলীমুন এই তিন সিফতের ধ্যান মানুষকে মাকামে এহসান এ পৌছায়।

ফাজায়েলঃ যাদের জিহ্বা জিকিরের দ্বারা তরুতাজা থাকবে তারা হাসতে হাসতে জান্নাতে প্রবেশ করবে। জিকিরের দ্বারা আল্লাহ পাকের মহব্বত পয়দা হয়নৈকট্য হসিল হয়দিল জিন্দা হয় এবং গাফেলত দূর হয়।

হাসিল করার তরীকাঃ তিন লাইনে মেহানত দ্বারা জিকির হাসিল হবে।
ক) দাওয়াত
খ) মশক
গ) দোয়া

ক) দাওয়াতঃ জিকিরের উদ্দেশ্য ও লাভ বলে বলে মানুষে মধ্যে দাওয়াত দিতে হবে।

খ) মশকঃ
১। তাসবিহাতঃ আল্লাহর ধ্যানের সাথে তাসবিহাত আদায় করা। ধ্যান ছাড়া তাসবিহাত আদায় করলে গাফেলত পয়দা হয়। তাই সকাল সন্ধ্যা ধ্যানের সাথে তিন তসবিহ আদায় করা।
২। কোরআন পাকের তেলাওয়াতঃ ধ্যানের সাথে রোজানা ১ পারা কোরআন পাকের তেলাওয়াত করতে হবে।
৩। মাসনুন দোয়াঃ মাসনুন দোয়া ধ্যানের সাথে আদায় করতে হবে। ধ্যান ছাড়া যে কোন আমাল আদতে পরিনত হবে।

গ) দোয়াঃ হাকীকতের যিকিরের তৌফিক চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে।

একরামুল মুসলেমীনঃ
উদ্দেশ্যঃ কালিমার খাতিরে প্রত্যেক মুসলমান ভাইকে নিজের চেয়ে বড় মনে করা।  নবীওয়ালা আখলাক আমাদের জিন্দেগীতে আনার জন্য এবং আমলের হেফাজতের জন্য একরাম করতে হবে।

ফজিলতঃ
১। কোন মুসলমানের উপকার করার চেষ্টা করা১০ বছর এতেকাফ করার চেয়ে উত্তম।
২। যে মুসলমানের দোষত্রুটি ঢেকে রাখবেআল্লাহ পাক দুনিয়া ও আখেরাতে তাহার দোষত্রুটি ঢেকে রাখবেন।

হাসিলঃ তিন লাইনে মেহানত দ্বারা একরাম হাসিল হবে।
ক) দাওয়াত
খ) মশক
গ) দোয়া

ক) দাওয়াতঃ সমস্ত মাখলুকের হক আদায় করতে হবে এই কথার দাওয়াত দিতে হবে।

খ) মশকঃ
১। নিজের ভাল কাজের মধ্যে দোষ তালাশ করা এবং অপর মুসলমান ভাইয়ের মধ্যে গুন তালাশ করা।
২। প্রকৃত মুমিন ঐ ব্যাক্তি যে নিজের জন্য যাহা পছন্দ করেঅন্যের জন্যও তাহা পছন্দ করে।

গ) দোয়াঃ হুসনে আখলাক নিজের জিন্দেগীতে নসীব হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে।

এখলাসে নিয়তঃ
উদ্দেশ্যঃ রেজায়ে এলাহী। আল্লাহ পাকের আহকামসমুহ সুন্নত তরীকায় কেবল মাত্র আল্লাহ পাকের রাজি এবং খুশির নিয়তে করা।

ফজিলতঃ আল্লাহ্তায়ালাকে রাজি করার নিয়তে সামান্য খেজুর দান করলেও আল্লাহ্তায়ালা পাহাড় পরিমান সওয়াব দান করবেন। এখলাসের সহিত সামান্য আমলই নাজাতের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ পাক ঐ আমালই কবুল করেন যাহা কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা হয়।

হাসিলঃ তিন লাইনে মেহানত দ্বারা এখলাস হাসিল হবে।
ক) দাওয়াত
খ) মশক
গ) দোয়া

ক) দাওয়াতঃ এখালসের উদ্দেশ্য ও ফজিলত বলে বলে দাওয়াত দিতে হবে।

খ) মশকঃ
১। প্রতিটি আমাল শুরুমাঝে এবং শেষে নিয়তকে যাচাই করতে হবে। আমালটি আল্লাহ পাকের রেজামন্দীর জন্য হইতেছে কিনা।
২। রোজানা অন্ততঃ একটা আমাল এমনভাবে করা যাহা আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেশতাগণ ব্যতীত কেহ না জানে।
৩। নিজের সমস্ত ভাল আমালের মধ্যে খারাবী তালাশ করা।

গ) দোয়াঃ এখলাস হাসিল করার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করতে হবে।

দাওয়াত ও তাবলীগঃ
উদ্দেশ্যঃ আল্লাহ্র দেওয়া জান মাল সময় নিয়ে আল্লাহ্র রাস্তায় বের হয়ে জান-মাল-সময়ের সঠিক ব্যবহার শিক্ষা করা। নিজের ঈমানইয়াকীন ও আমাল সহীহ হয়ে যায় এবং সকল উম্মতের ঈমানইয়াকীন ও আমাল সহীহ হয়ে যায়এই উদ্দেশ্যে রাসূল (সাঃ) মেহনতের তরীকাকে জিন্দা করা। দাওয়াতের মেহনতের মাধ্যমে ঈমান হাসিল হয়। মালুমাতের মাধ্যমেও ঈমান হাসিল হয় কিন্ত এই ঈমান হালতের সামনে টিকে থাকতে পারে না।

ফজিলতঃ
১। আল্লাহর রাস্তায় এক সকাল অথবা এক বিকাল দুনিয়া এবং দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম।
২। আল্লাহর রাস্তার ধূলা এবং জাহান্নামের ধূয়া একত্র হবে না।
৩। আল্লাহর রাস্তায় প্রতি কদমে ৭০০ নেকী হবে৭০০ গুনাহ মাফ হবেবেহেশতে ৭০০ দরজা বুলন্দ হবে।
৪। এই রাস্তায় বের হয়ে এক টাকা খরচ করলে সাত লক্ষ টাকার সওয়াব পাওয়া যায়। একটা নেক আমল করলে উনপঞ্চাশ কোটি নেক আমলের সওয়াব পাওয়া যায়।

হাসিলঃ তিন লাইনে মেহানত দ্বারা এই ছিফত হাসিল হবে।
ক) দাওয়াত
খ) মশক
গ) দোয়া

ক) দাওয়াতঃ দাওয়াতে তাবলীগের উদ্দেশ্য ও ফজিলত বলে বলে দাওয়াত দিতে হবে।
খ) মশকঃ নিজের জান মাল ও সময় নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে এই ছিফতের মশক করতে হবে।
গ) দোয়াঃ নিজের জান মাল ও সময় আল্লাহর রাস্তায় কবুল হওয়ার জন্য দোয়া করতে হবে এবং পুরা উম্মতের জন্যও এই দোয়া করতে হবে।

[বিঃদ্রঃ আমি নিজের জন্যই এখানে সেভ করে রাখলাম। মেহেরবানী করে কেউ এটাকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করবেন না।]

৮টি মন্তব্য:

  1. আসসালামুয়ালাইকুম ভাইয়া, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন আমীন। এভাবে সহজভাবে উপস্থাপন করে আমার অনেক উপকার করলেন।

    উত্তরমুছুন
  2. আলহামদুলিল্লাহ,কোৰআন ও হাদীছের আলোকে যেমন ছয় ছিফাতের আলোচনা হল ঠিক তেমনি তালিম সম্পৰ্কে,মাশোৱাৰা সম্পৰ্কে,তাৰপী বয়ান,গাস্তের বয়ান ও তশকিলী বয়ান সম্পৰ্কে আলোচনা করলে নিশ্চয় আমার মত নালায়েকের সাথে সাথে অন্যের বহুতের উপকাৰ হত। তাই লেখার অনৱরোধ রইল।

    উত্তরমুছুন
  3. উত্তরগুলি
    1. পুরুষের দাযেমীফরয দুইটি এক সর্বদা ইমানের হালাতে থাকা দুই সতর ঢাকা অবস্থায় থাকা

      মুছুন
  4. আলহামদুলিল্লাহ, অনেক উপকার হলো। আল্লাহ পাক আপনার এই খেদমত কে কবুল করুন।

    উত্তরমুছুন
  5. ভালো লাগলে অবশ্য লাইক কমেন্ট করবেন

    উত্তরমুছুন
  6. আল্লাহ্ আপনাকে যাযাখায়ের দান করুন।

    উত্তরমুছুন
  7. আল্লাহ্ আপনাক উত্তম প্রতিদান দান করুন।

    উত্তরমুছুন