ধূমপানের ৪১টি ক্ষতিকর দিক

খুব কমই আছে। ধূমপানের ক্ষতি এবং পরিণতি সম্পর্কে জানার পর, তা হালাল বলার কোন অবকাশ আছে বলে আমি মনে করিনা। ধূমপানকারী দেশে সমাজে সর্বমহলে একজন ঘৃনিত ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত হয়। যে ধূমপানের মত বদঅভ্যাসে আক্রান্ত, তাদের যে সব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা এখানে আলোচনা করা দরকার। নিম্নে এর কয়েকটি পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলোঃ
ধূমপান একটি মারাত্মক ব্যাধি, অত্যন্ত ক্ষতিকর ও বিপদজনক রোগ। কিন্তু তিক্ত হলে ও সত্য বর্তমান দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষ এ ধরণের একটি মারাত্মক ব্যধিতে আক্রান্ত। এর ভয়ানক পরিণতি সম্পর্কে জানেনা, এমন লোক খুব। নিম্মে কিছু ক্ষতি/অপকারের বর্ণনা দেওয়া হল-

১) ধূমপান আল্লাহর নাফরমানি এবং তার হুকুমের অবাধ্য হওয়া। আল্লাহ নিশ্চয় তাকে শাস্তি প্রদান করবেন।
২) আল্লাহ তাআলা ধুমপান এবং এর সাথে সম্পৃক্ত সকলকে ঘৃনা করেন।
৩) ধুমপানকারী ফেরেশতাদের কষ্ট দেয়।
৪) যে সব ঈমানদার ব্যক্তিবর্গ ধুমপান করে নাএকজন ধুমপায়ী তাদের কষ্টের কারণ হয়।
৫) ধুমপান নির্মল পরিবেশকে ধুষিত করে।
৬) ধুমপান অযথা খরচ, এতে কোন দুনিয়া ও আখেরাতের বিন্দু পরিমাণও উপকার হয় না। 
৭) আর ধুমপান হল অপচয়, আল্লাহ তাআলা অপচয় করার ব্যপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তিনি বলেন। তোমরা অপচয় কর না, নিশ্চয় অপচয়কারীদের আল্লাহ পছন্দ করেন না।
৮) এটির মাধ্যমে মন্দ এবং খারাপ কাজে সহযোগিতা হয়। আল্লাহ বলেন তোমরা ভাল ও তাকোয়াপূর্ণ কাজে সহযোগিতা করআর মন্দ ও খারাপ কাজে সহযোগিতা কর না।

৯) ধুমপান দ্বারা ইসলামের দুশমনদের ইসলামের বিপক্ষে সহযোগিতা করা।
১০) ধুমপানকারী গুনাহের কাজকে হালকা করে দেখে। আর এ কথা আমাদের সকলের জানা,গুনাহকে হালকা করে দেখা সাধারন গুনাহ অপেক্ষা বড় পাপ। রাসূল (সাঃ) বলেনঃ আমার সকল উম্মতকে ক্ষমা করা হবে, তবে যারা গুনাহকে খাট করে দেখে তারা ব্যাতীত।

১১) ধুমপানের সকল সামগ্রী নাপাক ও দুর্গন্ধময় এবং ধুমপানকারীকেও এভাবে নাপাক ও দুর্গন্ধময় করে।
১২) ধুমপান দ্বারা অনর্থক কাজে মানুষের সময় নষ্ট হয়।
১৩) আর যারা ধুমপানের লেনদেন করে, তারা সাধারনত ইসলামের দুশমনদের সাথে সাদৃষ্য রাখে।
১৪) ধুমপান একজন মানুষের সম্ভ্রম হনন করে, সম্মান হানি ঘটায়।
১৫) ধুমপান একজন মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি বিলোপ করে এবং তা তার নির্বোধ বা জ্ঞানহীন হওয়াকেই বুঝায়। কারন সে নিশ্চিত জানে যে ধুমপান তার জন্য ক্ষতিকর, তার পরও সে পান করে। এতে তার বোকামীই প্রকাশ পায়।

১৬) ধুমপানকারী তার ছেলে সন্তান এবং উত্তরসূরীদের জন্য একজন আদর্শহীন ব্যক্তিকে পরিণত হয়।
১৭) আর ধুমপানকারীর জন্য ইবাদত-বন্দেগী করা কঠিন হয়।
১৮) এ কাজটি ধুমপানকারীকে ইলম এবং যিকরের মজলিশ হতে দূরে রাখে এবং তাকে এ ধরনের মজলিশে উপস্থিত হতে হয়।
১৯) ধুমপান মানুষকে খারাপ মানুষের সাথে উঠা বসায় বাধ্য করে।
২০) ধুমপানের অভ্যাস একজন মানুষকে রোযা রাখা হতে বিরত রাখে। কারন, রোযা রাখলে সে ধুমপান করতে পারে না।
২১) ধুমপানের মাধ্যমে যেসব উপার্জন হয়, তা সম্পূর্ন হারাম। কারন, ধুমপানের ব্যবসা করা এবং এর লেনদেন সম্পূর্ন হারাম।
২২) ধুমপান মানুষের অপমৃত্যু ঘটায়। আন্তর্জাতিক স্বাস্হ সংস্থা তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেন যে, সমগ্র পৃথীবিতে ধুমপানের কারনে যত বেশি অপমৃত্যুর ঘটন ঘটে অন্য কোন রোগ-ব্যধির কারনে তত বেশি অপমৃত্যু ঘটেনা।
২৩) ধুমপানের কারনে ফুসফুসে ক্যান্সার, শরীরে তাপ, প্রদাহ, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি দীর্ঘ মেয়াদী রোগব্যাধী দেখা যায়।
২৪) ধুমপানের করনে কন্ঠনালীতে ক্যান্সার হয়।
২৫) ধুমপানের কারনে রক্তনালীগুল দুর্বল হয় এবং অনেক সময় একজন ধুমপায়ীর রক্তের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
২৬) এটি স্মরনশক্তি কমিয়ে দেয় এবং মনোবল দুর্বল করে দেয়।
২৭) ইন্দ্রিয় ক্ষমতা দুর্বল করেবিশেষ করে ঘ্রান নেয়া এবং স্বাদ গ্রহনের ক্ষমতা লোপ পায়।
২৮) অতিরিক্ত ধুমপানের কারনে দৃষ্টিশক্তি লোপ পায়।
২৯) মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বার বার সে হৃদরোগ আক্রান্ত হয়।
৩০) হার্ডের সাথে সম্পৃক্ত ধমনীগুলো ব্লগ হয়ে যায়।
৩১) বক্ষ ব্যাধীতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
৩২) রক্তের উচ্চ চাপের কারন হয়।
৩৩) যৌনশক্তি বিলুপ্ত হয়।
৩৪) হজমশক্তি কমায় এবং ধারনক্ষমতা লোপ পায়আর তার শরীর ঢিলে হয়ে যায়।
৩৫) ধুমপায়ী সব সময় দুর্বলতা অনুভব করে এবং আতঙ্কগ্রস্ত থাকে।
৩৬) ধুমপানকারীর ঠোটে মুখে জিহ্বা গলনালি ইত্যাদিতে ক্যান্সার হয়।
৩৭) পাকস্থলি ক্ষত হতে থাকে।
৩৮) ধুমপানের কারনে যকৃত শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩৯) ধুমপানের কারনে মুত্রথলিতে ক্যান্সার হয় এবং মুত্রথলি যক্ষায় আক্রান্ত হয়।
৪০) কিডনিতে ক্যান্সার হয়।
৪১) পেশাব বিশাক্ত হয়। এতকিছুর পরও একজন জ্ঞানী লোকের জন্য ধুমপান করা উচিআপনারাই মতামত দিন?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন